যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার , বাড়িতে ভাঙচুর : অভিযোগ তৃণমূলের ই অঞ্চল সভাপতি সহ মদতপুষ্টদের বিরুদ্ধে

3rd June 2020 বর্ধমান
যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার , বাড়িতে ভাঙচুর : অভিযোগ তৃণমূলের ই অঞ্চল সভাপতি সহ মদতপুষ্টদের বিরুদ্ধে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মেমারী ) : রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মেরে রক্তাক্ত করলেন তৃণমূলের ই অঞ্চল সভাপতি সহ তার মদতপুষ্ট সাঙ্গপাঙ্গরা । তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বুথ সভাপতির স্ত্রী , মা ও শ‍্যালিকা বলে অভিযোগ । ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা পূর্ব বর্ধমানের মেমারী ১ ব্লকের দলুইবাজার ২ পঞ্চায়েতের মহেশপুরে । আক্রান্তদের রাতের বেলাই চিকিৎসার জন‍্য নিয়ে যাওয়া হয় মেমারী গ্ৰামীণ হাসপাতালে । মেমারী থানায় অভিযোগ ও দায়ের হয়েছে । যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি আজগর আলি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সেখ সফিউর রহমান মল্লিক ওরফে পিন্টু মল্লিক সহ আরো ৮ জনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন মেমারী থানায় । জানা গেছে , অঞ্চল সভাপতি পিন্টু মল্লিক মেমারী ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্য এর অনুগামী এবং তাঁর ই মনোনীত । 

ঘটনাসুত্রে জানা গেছে , বিগত প্রায় ৭ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি আজগর আলি । কিন্তু তাকে সরিয়ে দিতে হবে এই দাবীতে পঞ্চায়েতের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন অঞ্চল সভাপতি সফিউর রহমান মল্লিক । যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে সরিয়ে তিনি তাঁর মনোনীত ব‍্যক্তিকে সুপারভাইজার করতে চান বলে অভিযোগ । এই ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার রাতে যুব তৃণমূলের নেতার বাড়িতে চড়াও হন অঞ্চল সভাপতি সহ তার দলবল । এমনটাই জানিয়েছেন আক্রান্ত যুব তৃণমূলের নেতা আজগর আলি । মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে । এমনকি স্ত্রী বাঁচাতে এলে তাকেও মারধোর করা হয়েছে । বাদ যায়নি শ‍্যালিকা ও মা । বাড়িতে ট্রাকটর সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি আজগর আলি । ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । আহতদের গ্ৰামবাসীরাই নিয়ে যান মেমারী হাসপাতালে । মেমারী ব্লক যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উচ্চ নেতৃত্বের যেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে তেমনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ও দাবী তোলা হয়েছে । 

এ বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মধুসুদন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন , এটা তৃণমূলের কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয় । কোনো ব‍্যক্তি যদি এধরনের ঘটনা ঘটায় পুলিশ আইন অনুসারে ব‍্যবস্থা গ্ৰহণ করবে । দুপক্ষ ই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে । দলের তরফ থেকেও দেখা হচ্ছে বিষয়টি বলে জানিয়েছেন মেমারী ১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি । কেউ আইন হাতে তুলে নিলে তার ব‍্যবস্থা প্রশাসন করবে বলে সাফ জানিয়েছেন ব্লক সভাপতি ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।